
প্রকাশিত: Mon, Apr 29, 2024 12:01 PM আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 12:27 AM
[১]ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনে তথ্য নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি আছে: টিআইবি
মাসুদ আলম: [২] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকার ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষার নামে যে আইনটি করতে যাচ্ছে, সেখানে এখনো ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি আছে। আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমরা চাই মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা যেন আইনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে এই আইন করা হয়েছে, আমরা চাই আমাদের দেশের আইনেও সেই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকুক। বিশেষ করে কোনটিকে আমরা ব্যক্তিগত তথ্য বলছি বা কোনটিকে ব্যক্তিগত তথ্য বলছি না, আইনে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।
[৩] রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে।
[৪] তিনি আরও বলেন, সরকার নিজেই ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যবহারকারী। সে ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত ঘটার আশঙ্কা আছে, যদি সরকারনিয়ন্ত্রিত কমিশন বা বোর্ড হয়। আমরা বলতে চাই ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হোক, যেটা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে।
[৫] ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখানে স্পষ্টতা না থাকলে কর্তৃপক্ষ যারা আছে, তাদের হাতে সুযোগ থেকে যাবে যে তারা কোনটাকে কখন ব্যক্তিগত তথ্য মনে করছে। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার নামে, জনস্বার্থের নামে, বেশ কিছু সংস্থাকে ব্যক্তিগত তথ্যে অবাধ অভিগম্যতার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখানে বিচারিক ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ, এটা ঝুঁকিপূর্ণ। দেশে জাতীয় স্বার্থ, সরকারি স্বার্থ ও জনস্বার্থ এক হয়ে যায়।
[৬] আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলম ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় কিছু সংশোধনের দাবি জানিয়ে তিনি সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশগুলো হলো- মৌলিক অধিকার রক্ষা ও ব্যক্তিগত তথ্য কোনগুলো হবে, তা স্পষ্ট করা। উপাত্ত স্থানীকরণের বাধ্যবাধকতা থাকলে নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ অবকাঠামোগত দিক থেকে বাস্তবায়নে যৌক্তিকতা বিবেচনায় নেওয়া। সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীন ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা কমিশন গঠন। ব্যক্তিগত তথ্যে অভিগম্যতার প্রয়োজন হলে সেখানে বিচারিক ভূমিকা থাকা। জনস্বার্থের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা। আইনটি প্রয়োগের জন্য একটি ‘টাইমলাইন’ ঠিক করা। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
